Monday, 2 April 2018
আফজল আলি
সম্পাদকীয়
চতুর্থ সংখ্যায় জিরো বাউন্ডারি ওয়েব ম্যাগাজিন । ছোট ছোট পায়ে হাঁটতে বেশ ভালো লাগছে । আমরা যেমন পেয়েছি রুমা ঢ্যাং এর মতো খুব পরিচ্ছন্ন কাজ জানা একজন সম্পাদককে, তেমনই তৈরি হয়ে উঠেছে অনুপ বৈরাগীর মতো তরুণ কবি এবং সহ-সম্পাদক। ফলে টিম জিরো বাউন্ডারি এখন অনেকবেশি সুসংহত। এক্কেবারে শূন্য অবস্থান থেকে আমরা যেভাবে জনসমর্থন পাচ্ছি তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এবং এগুলোই আমাদের উৎসাহ জুগিয়ে চলেছে পরবর্তী কার্যক্রমের। আমি আবারও বলছি আমরা কোনো প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করি না। তবে সুস্থ উত্তরণ অগ্রগতিতে আস্থা রাখি।
কবি বন্ধুরা আমাদের লেখা দিয়ে এত পাশে থাকছেন ফলে ম্যাগাজিন সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে খুব অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ ভালো লেখা না এলে ম্যাগাজিন চলতে পারে না, থাকে না ম্যাগাজিনের মান। এদিক দিয়ে আমরা বেশ কয়েক কদম এগিয়ে। এবারে প্রায় 70 জনের মতো কবিতা এবং এ ছাড়াও অণু কবিতা, দীর্ঘ কবিতা, মুক্ত গদ্য ও আমাদের কবি বন্ধুদের এবং পাঠককে সচেতন করার জন্য ডাক্তার অনুপ বৈরাগীর লেখনীতে জিরোবিতান বিভাগ আগের মতই থাকছে। সঙ্গে থাকছে এবারের নতুন সংযোজন হওয়া রুমা ঢ্যাং অধিকারীর কলমে জিরো-ডায়েরি-কবিতা।
এতদিনে অবশ্য পরিষ্কার হয়ে গেছে যে জিরো বাউন্ডারি ম্যাগাজিন তার আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবে, যা ভালো সবকিছুকে একত্রভুক্ত করে চেষ্টা চালিয়ে যাবে। কিছু কিছু মানুষের বিরোধীতা একদিকে যেমন ছিল বা আছে , আবার উল্টো দিকে অনেক মানুষের ভালবাসা সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি। আসলে বিরুদ্ধ কোনো কিছুই মানুষের জয়যাত্রা রুখতে পারে না তা যদি ভালোর জন্য হয়। তাই জিরো বাউন্ডারির কাছে এই সব শক্তি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে অচিরেই।
এবার সমাপ্তি টানব এই বলে যে সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। কবিতা মানুষের মন ভালো করে, পারস্পরিক বিদ্বেষ নষ্ট করে এবং পরিবেশ রাখে সংকীর্ণতাহীন। হ্যাঁ, শিল্প সংস্কৃতিই পারে সকল ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সপাটে চড় কষাতে।
রুমা ঢ্যাং অধিকারী
একদিন দুপুরবেলা ঘরের কিছু কাজ সারছিলাম। বেল বাজল আর বেল বাজতে ভেবেছিলাম কে না কে এসেছিল কিন্তু ভুল ভাঙল যখন দেখলাম একটা পার্সেল এল এবং সেটা আমাকেই পাঠানো তাতে লেখা এক্সট্রিমলি আর্জেন্ট। খুলতে মনে হয়েছিল কোনো নতুন অতিথি যেন এসেছে আর আমাকে তাকে সময় দিতে হবে কিন্তু ব্যাপারটা হল যে একইসঙ্গে আনন্দ হয়েছিল দুটো কারনে। প্রথমত এত আপন করে কেউ আগে মনে হয় পাঠায় নি আর দ্বিতীয়ত বই পাওয়ার এক অনাবিল সুখ। হয়ত বইপ্রেমীদের কাছে এমনটা মনে হওয়া কোন নতুন কিছু নয়। কিন্তু আজকাল দেখি কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে বই উপহার দেওয়া বেশ কমে গেছে। অথচ কবির সংখ্যা ফেসবুকের দৌলতে প্রচুর। আপনি হয়ত বিশেষ অনুষ্ঠানে অন্য দামি উপহারের সমান মূল্যে বই দিলেন। যিনি উপহার গ্রহণ করলেন তিনি বই দেখে ভাবলেন ধুর কি আর এমন উপহার দিলেন। এই ভেবে সরিয়ে রেখে দিলেন। কিন্তু এই বই যখন একটা ছোটখাটো বাড়ির লাইব্রেরি বানায় তখন ঘর তো মাধুর্যহীন হয়ে পড়ে না বরঞ্চ বাড়ায়। আবার আপনি বা আপনার বাড়ির সদস্য সেসব বই পড়ে অনেককিছুর সান্নিধ্য লাভও তো করে। আর বইবাজারও রমরমিয়ে চলে। আমি তো ভাবছি। আসুন আপনারাও ভাবুন উৎসব অনুষ্ঠানে বই উপহারস্বরূপ দেবেন কিনা।
এবারের জিবাকের ওয়েবের সংখ্যার পাশাপাশি মুদ্রিত সংখ্যার জন্যও লেখা চাওয়া হয়েছিল খুব কম দিনের মারফত প্রচুর লেখা এসেছে। আমরা আপ্লুত যে এত মানুষ জিবাকের পাশে রয়েছেন। খুব শীঘ্রই আর এক সুসংবাদ আসতে চলেছে আপনাদের কাছে। জিবাকের পুরো কনসেপ্ট অর্থাৎ তিনটে পর্বই মুদ্রিত হয়ে প্রকাশিত হতে চলেছে। মুদ্রণের কাজও প্রায় শেষের দিকে এখন শুধু প্রকাশিত হবার দিনটার জন্য অপেক্ষা। এপ্রিল সংখ্যায় তিনটে বুকরিভিউ রাখা হল, অনুপ বৈরাগীর জিরো বিতান তো রয়েছেই আর এই সংখ্যা থেকে ধারাবাহিক ডায়েরি প্রকাশিত হবে। আপনারা পড়ুন জিবাক ম্যাগাজিন। আমাদের কাছে জানান কেমন লাগল আর কিছু সাজেশন থাকলে সেটাও জানান। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব সেইসব মতামতকে গুরুত্ব দেবার।
পরিশেষে বলি, আসন্ন নববর্ষ আমাদের কাছে এক বড় উৎসব হয়ে উঠুক। গরমকাল, বেশি করে জল খান আর সুস্থ থাকুন। আমাদের পাশে থাকুন আমাদের সঙ্গে থাকুন। শুভ হোক সব দিন।
Subscribe to:
Posts (Atom)